এতবড় বুজুর্গের সন্তুষ্টি বিধান আমার পরকালে নাজাতের উছিলা হইবে মনে করিয়া আমি উক্ত কাজে সচেষ্ট হই।’’ (ফযায়েলে আমল, ফাজায়েলে তাবলীগের ভূমিকা,পৃষ্ঠা ৩,সংশোধিত সংস্করণ:১১ ঈ সেপ্টেম্বর,২০০৯ইং)

লিখেছেন লিখেছেন Saidul Karim ০৮ জানুয়ারি, ২০১৬, ১০:০৭:৫৩ রাত

প্রশ্ন থাকতে পারে-কোনো বুজুর্গ ব্যক্তির সন্তুষ্টিতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে পরকালে নাজাত দিবেকি না? ।মুমিনের প্রত্যেক কাজ হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোনো ব্যক্তির জন্য নয় হোক না সে যত বড় বুজুর্গ-পরহেযগার।যেমন আল্লাহর বাণী:-"হে রসূল! আপনি বলুন, আমার সলাত, আমারকুরবানী এবং আমার জীবন ও আমার মরণবিশ্বপ্রতিপালক আল্লাহরই জন্য। অর্থাৎতাঁর সন্তুষ্টির জন্য।’’(সূরা আনআম,আয়াত-১৬২)

আল্লাহর বাণী: "ধ্বংস সেসব সালাত আদায়কারীর জন্য যারা নিজেদের সালাত থেকে উদাসীন থাকে।তারা কাজ কর্মের বেলায় শুধু প্রদর্শনী করে"।(আল কুরআন,সুরা মাউন,আয়াত,৪-৬)

মাহমুদ ইবনে লুবাইদ বলেছেন,আল্লাহর রাসূল (স) বলেন-"আমি তোমাদের জন্য যা সর্বাদিক ভয় করি তা হলো শিরক আল আসগর(ছোট শিরক)।সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন হে আল্লাহর রাসূল! ছোট শিরক কি? জবাবে তিনি বললেন; "আর রিয়া"(লোক দেখানো),কারণ নিশ্চয় শেষ বিচারের দিনে মানুষ তার পুরস্কার গ্রহণের সময় আল্লাহ বলবেন, "বস্তু জগতে যাদের নিকট তুমি নিজেকে প্রকাশ করেছিলে তাদের নিকট গমন কর এবং দেখ তাদের নিকট থেকে কোনো পুরস্কার পাও কিনা।"(ড.বিলাল ফিলিপস লেকচার সমগ্রহ-১,পৃষ্ঠা-২২৬-২২৭)

মানুষকে ভালবাসার মাপকাটি হলো আল্লাহর দ্বীন।দ্বীনের ভিত্তিতে শুধু ভালবাসা ও ঘৃণা করা যায়।আর কারো সন্তুষ্টি কে যখন পরকালে নাজাতের উপলক্ষ ধরা হয় তখন তা শিরকের পর্যায়ে চলে যায়।কেননা,অতিরিক্ত ভক্তি-শ্রদ্ধা থেকেই মূর্তি পূজার মত শিরকে আকবরের উৎপত্তি।পৌত্তলিকরা জানত যে,মাটি বা পাথরের মূর্তি কিছু করতে পারে না তবু আল্লাহকে পাওয়ার জন্য তারা মূর্তি পূজা করত।যারা একদিন লাত উজ্জা প্রভৃতি দেব-দেবীর পূজা করতো, তারা কিন্তু এবিশ্বাস করতো না যে এগুলো হল তাদেরপ্রভূ বা সৃষ্টিকর্তা। বরং তারা বিশ্বাসকরতো এগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনেরমাধ্যমে বা তাদেরকে অসীলা হিসাবে গ্রহণ করে তারা আল্লাহ নৈকট্য অর্জনকরবে।

"আমরা তো তাদের ইবাদত করি এ জন্য যেতারা আমাদের আল্লাহর নিকটবর্তী করেদেবে।"(সূরা যুমার, আয়াত ৩)

তারা এ সম্পর্কে আরো বলতো :-"এরা (দেব-দেবী) আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে।""(সূরা ইউনূস, আয়াত-১৮)

"ইসলাম মানুষের প্রতিটি কর্মকে,তা যত তাৎপর্যবিহীন অথবা অথবা নিরস মনে হোক না কেন,ইবাদতের কাজে পরিণত করে যতক্ষণ পর্যন্ত দুটি মৌলিক শর্ত প্রতিপালিত হয়-১.একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। ২.আল্লাহর রাসূল (সHappy এর সুন্নাহ অনুযায়ী এটা করতে হবে।(ড.বিলাল ফিলিপস রচনা সমগ্র-১,পৃষ্ঠা-৩৬৩)

মানুষের কর্মফলের ওপর ভিত্তি করে তাকে পুরস্কার-তিরস্কার করা হবে।কোনো ব্যক্তির সন্তুষ্টি নয়।এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন;"অতএব যে ব্যক্তি এক অণু পরিমাণ কোনো ভালো কাজ করবে তাও সে দেখতে পাবে;কোনো মানুষ যদি অণু পরিমাণ খারাপ কাজও করে,তাও সে দেখতে পাবে।*

অতপর যার ওজনের পাল্লা ভারি হবে,সে সুখের জীবন লাভ করবে; আর যার ওজনের পাল্লা হালকা হবে তার আশ্রয়স্থল হবে হাবিয়া দোযখ।**

(*সুরা যিলযাল,আয়াত-৭-৮)

(**সুরা আল-করিয়া,আয়াত,৬-৯)

তিনি আরো বলেন-"প্রত্যেক মানুষকে সে পরিমাণ প্রতিফিলই দেওয়া হবে যেপরিমাণ কাজ সে করে এসেছে।*

অত:পর (ঘোষণা হবে),আজ কারো প্রতি জুলুম করা হবে না,তোমাদের শুধু সেটুকুই প্রতিদান দেওয়া হবে যা তোমরা করে এসেছো।**

(*সুরা ঝুমার,আয়াত-৭০)

(**সুরা ইয়াসিন,আয়াত-৫৪)

তিনি আরো বলেন;"সেদিন প্রত্যেক বক্তিকেই অত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি প্রদর্শন করতে আসবে।প্রত্যেক ব্যক্তিকেই তার কৃতকর্মের প্রতিফল আদায় করে দেওয়া হবে এবং তাদের (কারো) ওপর জুলুম করা হবে না।"*

"(কিন্তু) কাউকে সেদিন ওযর আপত্তি পেশ করার অনুমতি দেয়া হবে না।"**

"আর তখন তোমাদের মালিক এদের নিজেদের কর্মফলের পুরোপুরি বিনিময় আদায় করে দেবেন;এরা যা কিছু করেছে তিনি অবশ্যই তার সব কিছুই জানেন।"****

"আর কেউ কারো ভার নেবে না"****

(*সুরা নাহল,আয়াত,১১১)

(**সুরা হুদ,আয়াত,১১১)

(***সুরা মুরসালাত,আয়াত,৩৬)

(****সুরা ঝুমার,আয়াত-৭)

এখনো কি বলবেন কোনো বুজুর্গের সন্তুষ্টিতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন? আর যদি কোনো বুজুর্গের খুশিতে আল্লাহ খুশি হন তাহলে বিবেক কি বলেনা তার না খুশেও আল্লাহ আপনার ওপর নাখোশ হবেন।এটা কি সম্ভব! আল্লাহর কালাম তো বলে পরকালে কেউ কারো উপকারে আসবে না।(সুরা বাকারাহ,আয়াত-৪৮)

যেদিন ভাই তার ভাইকে,স্ত্রী তার স্বামীকে,বন্ধু তার বন্ধুকে,মা তার ছেলে কে,পিতা তার পুত্র কে অতি নিকট হওয়া সত্ত্বেও আপনার দিকে ফিরে থাকাবে না সেদিন বুজুর্গ খুশি হবে কেমনে?(দেখুন,সুরা আবাসা,আয়াত,৩৪-৩৬)

দা‘ওয়াত ও তাবলীগআল্লাহর নির্দেশিত একটি দ্বীনি ওনেকীর কাজ। উলামায়ে কেরাম একেইসলামের ৬ষ্ঠতম স্তম্ভ হিসাবে সাব্যস্তকরেছেন এবং মহান রাববুল ‘আলামীন একেঈমানের পূর্বেই স্থান দিয়েছেন। যেমনআল্লাহ তা‘আলা বলেন :‘‘তোমরাই সর্বোত্তম উম্মাত, মানবজাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের উদ্ভবঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎ কাজেরনির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধাদেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমানআনবে।’’ (সূরা আল-ইমরান,আয়াত ১১০)

শুধু তাই নয়, সূরা তাওবাতেও মহানআল্লাহ সেটাকে সলাত প্রতিষ্ঠা যাকাতপ্রদানের পূর্বেই উল্লেখ করেছেন। (দেখুনতাওবা-৭১)

বুঝা যাচ্ছে দা‘ওয়াত ও তাবলীগ একটি বড়‘ইবাদাত বা দ্বীনী বিষয় এবং নেকীরকাজ। তাবলীগী ভাইদের ভাষায় উম্মুলহাসানা বা সমস্ত নেকির ‘মা’। তাহলেএই ‘ইবাদাত বা নেকীর কাজটা হতে হবেসম্পূর্ণরূপে আল্লাহর সন্তুষ্ঠির উদ্দেশ্যে।অর্থাৎ ইখলাসের (নিষ্ঠার) ভিত্তিতে সহীহ্ নিয়তে।আল্লাহ তা‘আলা বলেন :"আর তাদেরকে হুকুম করা হয়েছে যে,তারা একনিষ্ঠ হয়ে আন্তরিকভাবেআল্লাহর দ্বীন পালনের মাধ্যমে একমাত্রতাঁরই ‘ইবাদাত করবে, সলাত কায়িম করবেএবং যাকাত দান করবে। এটাই হচ্ছে সুদৃঢ়দ্বীন।’’ (সূরা আল বায়্যিনাহ,আয়াত-৫)

অথচ এত বড় একটা ইবাদত কে লিখক একনিষ্ঠভাবে একান্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দোশ্যে না করে তার বুজুর্গেরসন্তুষ্টির জন্য করেছেন।আর তার সন্তুষ্টিকে পরকালে নাজাতের উছিলা ভেবেছেন এটা কি শিরক নয়? আর তাঁর একই লিখনিতে নিজেও বলেছেন,দ্বীনের কাজ শুধমাত্র আল্লাহরসন্তুষ্টির নিয়তে করতে হবে।যদিও ভুমিকাতে শির্কি আক্বিদাহ প্রকাশ করেছেন।দেখুন:-

" ফাজায়েলে তাবলীগের পঞ্চম পরিচ্ছেদ।মুবাল্লেগীনদের ইখলাসে নিয়ত অধ্যায়।‘‘এই পরিচ্ছেদে মোবাল্লেগীনদেরখেদমতে আমার একিট বিশেষ অনুরোধ এইযে, তাহারা যেন স্বীয় ওয়াজ নছীয়ত ওলিখনীকে এখলাসের দ্বারা অলংকৃতকরেন। কারণ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভেরজন্য নয় এমন আমল দুনিয়াতেও কোন কাজেআসিবে না আর আখেরাতেও উহার কোনছওয়াব পাওয়া যাইবে না। হুজুর (সাঃ)এরশাদ করেন-ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻻ ﻳﻨﻈﺮ ﺇﻟﻰ ﺻﻮﺭﻛﻢ ﻭﺍﻣﻮﻟﻜﻢ ﻭﻟﻜﻦ ﻳﻨﻈﺮ ﺇﻟﻰ ﻗﻠﻮﺑﻜﻢ ﻭﺍﻋﻤﺎﻟﻜﻢ(ﻣﺸﻜﻮﺓ ﻋﻦ ﻣﺴﻠﻢ )অর্থঃ আল্লাহ পাক তোমাদের বাহ্যিকছুরত ও সম্পদের প্রতি লক্ষ্য করেন না বরংতোমাদর অন্তর ও আমালের পতিদৃষ্টিপাত করেন। -(মেশকাত)হাদীছে বর্ণিত আছে, জনৈক ব্যক্তি হুজুর(সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, ঈমানকি জিনিস? হুজুর (ছঃ) উত্তর করিলেন-এখলাছ। অন্য হাদীছে বর্ণিত আছে, হজরতমোয়াজ (রাঃ) কে হুজুর (সাঃ) যখনইয়ামেনের গভর্নর নিযুক্ত করিলেন, তখনতিনি আরজ করিলেন, হুজুর আমাকে কিছুঅছিয়ত করুন। হুজুর (সাঃ) বলিলেন,দ্বীনের কাজে এখলাছের পতি বিশেষলক্ষ্য রাখিবে। কারণ এখলাছের সহিতসামান্য আমলই যথেষ্ট। আরও বর্ণিত আছেআল্লাহ পাক আমলের মধ্যে যাহা শুধুতাঁহার সন্তুষ্টির জন্য করা হয় উহাই কবুলকরেন। অন্য হাদীছে এরশাদ হইয়াছে-ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺃﻧﺎ ﺍﻏﻨﻰ ﺍﻟﺸﺮﻛﺎﺀ ﻋﻦ ﺍﻟﺸﺮﻙ ﻣﻦ ﻋﻤﻞ ﻋﻤﻼ ﺍﺷﺮﻙ ﻓﻴﻪﻣﻌﻰ ﻏﻴﺮ ﺗﺮﻛﺘﻪ ﻭﺷﺮﻛﻪ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻓﺎﻧﺎ ﻣﻨﻪ ﺑﺮﺉ ﻓﻬﻮ ﻟﻠﺬﻯ ﻋﻤﻠﻪ(ﻣﺸﻜﻮﺓ ﻋﻦ ﻣﺴﻠﻢ )আল্লাহ পাক বলেন, আমি অংশীদারদেরঅংশ স্থাপনের মুখাপেক্ষী নহি। যদিকোন ব্যক্তি কোন আমলের মধ্যেকাহাকেও আমার সাথে শরীক করে, তবেউক্ত ব্যক্তিকে আমি তাহার শেরেকেরউপর সোপর্দ করিয়া থাকি। অন্যরেওয়ায়েতে আছে, আমি তাহার দায়িত্বহইতে মুক্ত হইয়া যাই।- (মেশকাত) অন্যহাদীছে বর্ণিত আছে, ক্বেয়ামতের দিনহাশরের ময়দানে এক ঘোষণাকারীউচ্চঃস্বরে ঘোষণা করিবে, যে ব্যক্তিকোন আমলের মধ্যে অন্য কাহাকেও শরীককরিয়াছে, সে যেন উহার প্রতিদানতাহার কাছ থেকেই চাহিয়া লয়। কারণআল্লাহ তায়ালা যে কোন প্রকার অংশস্থপন হইতে মুক্ত। - (মেশকাত)অন্য হাদীছে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি লোক দেখানে নামাজ পড়েসে মোশরেক হইয়া যায়, আর যে ব্যক্তিলোক দেখানো ছদকা করিল সেও মোশরেকহইয়া গেল। অর্থাৎ যাহাদেরকেদেখাইবার জন্য করা হইয়াছে উহাতাহাদের জন্যই হইল। অন্য একটি হাদীছেআছে (আরবী ইবারত বাদ দিয়েছি)অর্থঃ কেয়ামতের দিবস সর্বপ্রথমযাহাদের ফায়ছালা শুনানো হইবেতন্মধ্যে একজন শহীদ হইবে। তাহাকেডাকিয়া আল্লাহ পাক স্বীয় নেয়ামতসমূহস্মরণ করাইবেন। সেই ব্যক্তি উহাচিনিয়া লইবে ও স্বীকার করিবে।অতঃপর তাহাকে জিজ্ঞাসা করা হইবেযে, ঐ সব নেয়ামতের প্রতিদানে তুমি কিকাজ করিয়াছ? সে উত্তর করিবে তোমারসুন্তষ্টি লাভের জন্য জেহাদ করিয়াছি ওশহীদ হইয়াছি। এরশাদ হইবে মিথ্যাবলিয়াছ? তোমাকে বীর পুরুষ বলিবে এইজন্যই এই সব করিয়াছিলে।সুতরাং তাহা-তো বলা হইয়াছে। তারপরতাহাকে আদেশ শুনানো হইবে। অতঃপরতাহাকে অধঃমুখী করিয়া টানিয়াজাহান্নামে নিক্ষেপ করা হইব।দ্বিতীয় ঐ আলেমের বিচার হইবে যেএলেম শিখিয়াছিল ও শিখাইয়াছিল এবংকোরআনে পাক পড়িয়াছিল। তাহাকেডাকিয়া তাহার উপর প্রদত্ত নেয়ামত সমূহদেখানো হইবে। সে ব্যক্তিও স্বীকারকরিবে। তারপর আল্লাহ পাক জিজ্ঞাসাকরিবেন ঐ সব নেয়ামতের পরিবর্তে তুমিকি আমল করিয়াছ? সে বলিবে তোমারসুন্তুষ্টি বিধানের জন্য এলেমশিখিয়াছি ও শিখাইয়াছি এবং তোমাররেজামন্দির আশায় কালামে পাকহাছেল করিয়াছি। উত্তর হইবে মিথ্যাবলিতেছ। তুমি এইজন্য শিখিয়াছিলে যে,লোকে তোমাকে ক্বারী বলিবে। সুতরাংসেই মাকসুদ তো পূর্ণ হইয়াছে। অতঃপরতাহাকে ফরমানে এলাহী শুনানো হইবেএবং তাহাকেও অধঃ মুখী করিয়াটানিয়া জাহান্নামে নিক্ষেপ করাহইবে।তৃতীয় ঐ ধনাট্য ব্যক্তি হইবে যাহাকেআল্লাহ পাক প্রচুর পরিমাণ ধন সম্পদ দানকয়িাছেন তাহাকেও হাজির করিয়ানেয়ামত সমূহের স্বীকারোক্তি লইয়াপ্রশ্ন করা হইবে যে, তার প্রতিদানে তুমিকি আমল করিয়াছে? সে আরজ করিবে,খোদায়ে পাক! তোমার মনোনীত যেকোন রাস্তায় আমি দান করিতে ত্রুটিকরি নাই। এরশাদ হইবে মিথ্যাবাদী ঐ সবতুমি এই জন্যই করিয়াছিলে যে, লোকেতোমাকে দাতা বলিবে। তাহা তো বলাইহইয়াছে। তাহাকে ও নির্দেশ মোতাবেকসজোরে টানিয়া জাহান্নামে নিক্ষেপকরা হইবে।- (মেশকাত)

)সুতরাং মোবাল্লেগীনদের জন্যনিতান্তই প্রয়োজন, তাঁহারা যেন যেকোন কাজ কর্ম আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ওদ্বীনের প্রচার এবং হুজুরে পাক (ছঃ) এরসুন্নাতের তাবেদারীর নিয়তেই করিয়াথাকেন।" (তাবলীগী নিসাব- ফাজায়েলেতাবলীগ ২৫-২৭ পৃঃ)

প্রিয় পাঠক! এখন বলুন,ফজায়েলে আমলের ভূমিকার সাথে এই লিখার কোনো মিল আছে কি? আর যদি লিখকের আক্বিদাহ এই হয়তাহলে ভুমিকা সংশোধন করলে অসূবিধা কোথায়? আল্লাহ সকল কে তাওহীদ বুঝার তাওফিক দিন।আমীন

বিষয়: বিবিধ

১৮৮৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

356500
০৮ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:৫১
তট রেখা লিখেছেন : ভুমিকা সংশোধন করবে কি ভাবে? যিনি ভুমিকা লিখেছেন, তিনি তো পৃথিবীতে নেই। এছাড়াও তাদের কিতাবে আরো অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে, যা সংশোধন প্রয়োজন। তাদের আক্বিদাগত অনেক বিভ্রান্তি সহ অনেক কিছুই খোল-নলচে পরিবর্তন রয়েছে। আর শুধু কুরান আর সহীহ হাদীসের অনুসরণেই এর সমাধান নিহিত আছে, কোনো বুজুর্গের অনুসরণে নয়।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File